Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুন ২০২৩

বিডাব্লিউএমআরআই গম ১

ভূমিকা: বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বিডাব্লিউএমআরআই গম ১ একটি আগাম এবং উচ্চ ফলনশীল গমের জাত।  জাতটি SHATABDI এবং PRODIP জাতের মধ্যে বাংলাদেশে সংকরায়ন করে উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রজন্মে ও আবহাওয়ায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এজাতটি বিএডব্লিউ ১১৯৪ নামে নির্বাচন করা হয়। বিভিন্ন নার্সারী ও ফলন পরীক্ষায় এ কৌলিক সারিটি অন্যান্য চেক জাতের তুলনায় ভাল করায় নির্বাচন করা হয়। প্রস্তাবিত জাতটি ২০১৬ ও ২০১৭ সালের গবেষণা মাঠ পরীক্ষায় এবং ২০১৮ সালে কৃষকের মাঠে উচ্চ ফলনশীল  ও তাপসহনশীল জাত হিসেবে প্রমানিত হয়েছে। গত ২৩ জুন ২০১৯ খ্রি. অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক সারা দেশে চাষাবাদের জন্য জাতটি অবমুক্ত করা হয়।              

প্রযুক্তির বিবরণ:

 

বৈশিষ্ট্য:

চার থেকে ছয়টি কুশি বিশিষ্ট গাছের উচ্চতা ৯০-১০০ সেন্টিমিটার। শীষ বের হতে ৫৩-৫৭ দিন এবং বোনা থেকে পাকা পর্যন্ত ১০৫-১১২ দিন সময় লাগে। শীষ লম্বা এবং প্রতি শীষে দানার সংখ্যা ৪৫-৫০টি। দানার রং সাদা, চকচকে ও আকারে বড় (হাজার দানার ওজন ৫২-৬০ গ্রাম)। জাতটি গমের পাতার দাগ রোগ এবং মরিচা রোগ প্রতিরোধী। জাতটি খাটো হওয়ায় সহজে হেলে পড়ে না। জাতটি আগাম ও তাপ সহিষ্ণু ।

প্রযুক্তি হতে ফলন: উপযুক্ত পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ফলন ৪০০০-৫০০০ কেজি।

প্রয়োগের স্থান: দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সর্বত্র আবাদের জন্য উপযোগী।

উদ্ভাবনের বৎসর: ২০১৯

উৎপাদন কলাকৌশল:

বপনের সময়: বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ১৫-৩০ নভেম্বর (১-১৫ অগ্রহায়ণ) এবং বীজ হার ১২০ কেজি/হেক্টর।

সারের মাত্রা: ইউরিয়া ১৫০-১৭৫ কেজি/হে., টিএসপি ১৩৫-১৫০ কেজি/হে., এমওপি ১০০-১১০ কেজি/হে., জিপসাম ১১০-১২৫ কেজি/হে. এবং বরিক এসিড ৬.২৫-৭.৫০ কেজি/হে.। সার প্রয়োগ পদ্ধতি: ইউরিয়া সারের দুই তৃতীয়াংশ এবং অন্যান্য সার জমি তৈরির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। বীজ বপনের ১৭-২১ দিনের মধ্যে বাকি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। মাটির pH মান ৫.৫ এর কম হলে হেক্টরপ্রতি ১০০০ কেজি (শতাংশে ৪ কেজি) হারে ডলোচুন গম বীজ বপনের কমপক্ষে ৭ দিন আগে প্রয়োগ করতে হবে। তিন বছর পর পর মাটির ঢ়ঐ মান পরীক্ষা পূর্বক জমিতে ডলোচুন প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আগাছা দমন: চওড়া পাতা জাতীয় আগাছা দমনের জন্য বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ২৫ গ্রাম এফিনিটি পাউডার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে।

সেচ প্রয়োগ: মাটির প্রকার ভেদে ২-৩ টি সেচের প্রয়োজন হয়। প্রথম সেচ চারার তিন পাতার সময় (বপনের ১৭-২১ দিন পর) হালকা ভাবে, দ্বিতীয় সেচ শীষ বের হওয়ার পূর্বে (বপনের ৫০-৫৫ দিন পর) এবং তৃতীয় সেচ দানা গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে (বপনের ৭৫-৮০ দিন পর) হালকা ভাবে দিতে হবে।

অন্যান্য পরিচর্যা: বীজ বপনের পর ১০-১২ দিন পর্যন্ত পাখি তাড়াতে হবে যাতে জমিতে চারার সংখ্যা সঠিক থাকে। গম ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমন হলে ফাঁদ পেতে বা বিষটোপ (জিঙ্ক ফসফাইড বা ল্যানির‌্যাট) দিয়ে দমন করতে হবে।

রোগ-বালাই দমন: দেরিতে বপনকৃত গম ক্ষেতে পাতার দাগ রোগ দমনের জন্য শীষ বের হওয়ার সময় ৫ মিলি টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

ফসল কর্তন: গম গাছ সম্পূর্নরূপে পেকে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে কাটা ও মাড়াইয়ের উপযুক্ত হলে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে সকালের দিকে কেটে দূপুরে মাড়াই করা উত্তম। মাড়াই যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই গম মাড়াই করা যায়। মাড়াই করার পর ৩-৪ দিন হালকা রোদে শুকিয়ে বীজের আর্দ্রতা শতকরা ১২ ভাগ বা তার নীচে নামিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

                               

বিডাব্লিউএমআরআই গম ১


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon